ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
আলোরকোল ডেস্ক।।
বরগুনা থেকে মাছ শিকারে বঙ্গোপসাগরে গিয়েছিল এমভি হাওলাদার নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার। ২৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করার দুই দিন পর গত ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ শিকারকালে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে সাগরে আটকা পড়ে ১৩ জন মাঝি-মাল্লা ও জেলে।
৬ দিন পর মোবাইলে তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর কোস্টগার্ডের একটি দল। গতকাল রোববার রাত ২টার দিকে ইঞ্জিন বিকল হওয়া ট্রলারটিসহ তাদের ভাসানচরে নিয়ে আসে কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা এলাকায়।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গত ৬ দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে ভাসতে থাকা ফিশিং ট্রলারের লোকজন মোবাইলের নেটওয়ার্ক পেয়ে কোস্টগার্ডকে অবগত করে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড পূর্ব জোন বিসিজি কন্টিনজেন্ট হাতিয়ার ভাসানচরের একটি দল গতকাল রোববার বিকেলে তাদের উদ্ধারে নামে। গভীর রাতে হাতিয়ার পূর্ব পাশে গাঘুরিয়ার চরের দক্ষিণ অংশের বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান পেয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় পর তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ট্রলারের মাঝি এমাজল হক জানান, গত ২৮ নভেম্বর পাথরঘাটা থেকে মাছ শিকারের জন্য সাগরে যান তিনিসহ ১৩ জন। গত ৩০ নভেম্বর তাদের ট্রলারের ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যায়। এর পর থেকে জোয়ারে সাগরের ভাসতে থাকেন তারা। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। গতকাল রোববার বিকেলে মোবাইলে নেটওয়ার্ক পেয়ে পাথরঘাটা ট্রলারের মালিক সোহাগ হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেন। ভাসানচরে অবস্থান করে ট্রলারের ইঞ্জিন মেরামত করে তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরে যাবেন বলেও জানান।
অন্যদিকে, ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া জেলেদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ভাসানচর কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।