প্রধান মেনু

স্বল্প সময়ে পেয়েছেন পাঠক প্রিয়তা

চিতলমারীতে সাহিত্যাঙ্গণে ব্যাংকার অসীম বিশ্বাস মিলনের সাফল্য

প্রদীপ মন্ডল চিতলমারী  ।।
বাগেরহাটের চিতলমারীতে তরুণ প্রজন্মের সাহিত্যিক হিসেবে ব্যাংকার অসীম বিশ্বাস মিলন স্বল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাঁর লেখা বইগুলো ইতোমধ্যেই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কর্মজীবনে দেশের প্রধান রাষ্ট্রয়ত্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হয়েও সাহিত্যাঙ্গণে তাঁর রয়েছে অবাঁধ বিচরণ। তাঁর সাহিত্যকর্ম সমূহ পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ছায়া-সুনিবিড় গরীবপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা-স্বর্গীয় শ্রী মনোহর বিশ্বাস, মাতা-শ্রীমতী রাশি বিশ্বাস। স্কুল জীবনে ‘প্রেম বন্দনা’ কবিতা থেকে সাহিত্য চর্চার হাতেখড়ি। এপর থেকে পর্যায়ক্রমে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী। গ্রামের নৈসর্গিক পরিবেশের মধ্যে থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি সমান তালে চালিয়ে যান সাহিত্য কর্ম।

কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ালেখা শেষ করে সংস্কৃত ভাষা সাহিত্যে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে  শ্নাতক  ও শ্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সাথে পড়ালেখা শেষ করে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি চিতলমারী সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ইতোপূর্বে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ- ‘অস্তগামী’,‘কনীনিকা’; ধর্মীয় প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘উপনিষদ্ পুরাণ এবং দর্শনের উপলদ্ধি থেকে’; গল্পগ্রন্থ- ‘মিলনের ছোটগল্প- ১ম খ-’ ও নাট্যগ্রন্থ- ‘ঋক্ষরাজ’।

আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হবে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘অভাগীর প্রেম’। এছাড়াও প্রকাশের অপেক্ষায় যে সকল গ্রন্থ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘নতুন আলো’, ‘সেল্ফি’, ‘সনাতনী জ্ঞানের আলোকে প্রশ্নোত্তর’, ‘সংখ্যাতত্ত্বে সনাতনী জ্ঞান ও দৈনন্দিন মন্ত্রমালা’, ‘শ্রীমদ্ভগবদগীতা আত্মতত্ত্ব ও আত্মোপলদ্ধি’, ‘অন্তঃক্ষরণ’, ‘রবার্ট ক্লাইভ’, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশী ও বিদেশী নারীর অবদান’, ‘প্রশ্নশতক’ অন্যতম।

এ ব্যাপারে সাহিত্যিক অসীম বিশ্বাস মিলন জানান, স্কুল জীবন থেকে মনের খেয়ালে কবিতা লেখার মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য চর্চার হাতে খড়ি। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পড়া লেখার পাশা-পাশি সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন সাহিত্য চর্চা। তিনি আরো বলেন, ‘ অসংখ্য পাঠকের ভালবাসাই আমার লেখা-লেখির অনুপ্রেরণা। আমার প্রকাশিত বইয়ের মাধ্যমে আমি পাঠক হৃদয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চাই।’

প্রদীপ  মন্ডল
চিতলমারী, বাগেরহাট
০১৭১৪৪৮১৩৫৩






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*