প্রধান মেনু

বনরক্ষীরা নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে

দুবলা ফরেস্ট অফিস বঙ্গোপসাগরে বিলীন হওয়ার পথে

আলোরকোল ডেস্ক ।।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহলফাঁড়ি বঙ্গোপসাগরে বিলীন হওয়ার পথে। বন কর্মকর্তা বনরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন। অপরদিকে, পানীয় জলের অভাবসহ চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় জীবন-জীবিকার তাগিদে রোগেশোকে ধুঁকছেন দুবলারচরের শুঁটকি জেলেরা।

ছবি : বাবুল দাস

বঙ্গোপসাগরের তীরে দুবলারচর জেলেপল্লিতে গেলে দুবলা টহলফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার অসিত কুমার রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গোপসাগরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে দুবলা অফিসকেল্লায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ভাঙনে এরই মধ্যে চরের ব্যাপক জায়গা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে অফিসকেল্লার একমাত্র পানীয় জলের পুকুরটি। ভবন থেকে সাগরের দূরত্ব এখন মাত্র পঁয়ত্রিশ ফুটের মতো। অফিস ভবন যে কোনো সময় সাগরে বিলীনের আতঙ্কে বন কর্মকর্তা বনরক্ষীরা রাতে রুমের দরজা খোলা রেখে নিদ্রাহীন রাত কাটায় বলে তিনি জানান।

আলোরকোলের জেলে আসমত আলী ও শুকুর মীর বলেন, চরে পানীয় জলের পুকুর না থাকায় চরের বালি খুঁড়ে অতিকষ্টে খাবার পানি সংগ্রহ করেন। ঐ পানি খেয়ে জেলেরা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জেলেরা জানান।

দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুবলা অঞ্চলের চারটি চরে প্রায় ১৫ হাজার জেলে সাগরে মাছ ধরে শুঁটকিকরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে থাকে। এ খাতে সুন্দরবন বিভাগ রাজস্ব আয় করে থাকে। এখানের জেলেদের জন্য  চিকিৎসা সুবিধা নেই। তিনি আরো বলেন, দুবলারচরে জেলেদের জন্য সাইক্লোন শেল্টার অতীব প্রয়োজন। যা আছে তা জরাজীর্ণ ও ঝুঁঁকিপূর্ণ, সেখানে থাকা যায় না।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের ভাঙনে দুবলা টহলফাঁড়ি হুমকির মুখে। ভাঙনকবলিত স্থানে ব্লক নিক্ষেপের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*