প্রধান মেনু

এ বাঘ মৃত্যুর আসল রহস্য অধরাই থেকে যাবে অনন্ত কাল.....!

দেখে মনে হয়নি বয়সের কাছে আত্ম সমর্পন করেছে বাঘিনী…….

       ।।নজরুল ইসলাম আকন ।।

মৃত বাঘটিকে দেখে মনে হয়নি এটিকে কেহ ফাঁদ পেতে অথবা পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে এও মনে হয়নি যে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাগারটিকে বার্ধক্যর কাছে আত্মসমর্পন করে কটকার ছাপড়াখালীতে মুখথুবড়ে মরে পরে থাকতে হয়েছিলো।

পূর্ব- সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বনরক্ষীদের যারপর নাই লুকোচুরির পর ( সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত) ২১ আগস্ট বুধবার বিকেল ৩ টা ৩০ মিঃ দিকে হতভাগা বাঘিনীর দেখা মিলেছিলো। তখন তার মৃত্যুর বয়স ( বনবিভাগের ধারনা মতে) প্রায় ২৮ ঘন্টা।

বাঘটি স্বাভাবিক ভাবেই ফুলে- ফেপে উঠছিলো যে ভাবে মৃতরা ফুলে- ফেপে ওঠে। তার পরও দেখে মনে হয়নি এর মৃত্যুর কারন বার্ধক্য জনিত। একটি সবল বাঘের প্রতিচ্ছিই দেখেছি মৃত বাঘটির মাঝে। প্রথম দেখার পর যতবারই বাঘটির ছবি আমার চোখে ভেসে উঠেছে ততোবারই মনে হয়েছে এটি বয়সের ভারে নত থুতথুরে বুড়ি কোন বাঘ ছিলো না।

অনেকটা তেজোদীপ্ত বলেই মনে হয়েছে। তার ৪ টি পা, পায়ের থাবা, মুখ মন্ডল, শিকারী সূচালো ৪ টি দন্ত কোনটাই বার্ধক্যের কথা বলেনা। তবে কি কারনে মারা যেতে পারে বাঘটি..? পয়জনিং সিস্টেম চালু রয়েছেতো সুন্দর বনে। বিষ টোপের কাছে যদি আত্মসমর্পন করে থাকে বাঘটি ? বাঘ শিকারের নানা কৌশলতো শিকারী চক্রের জানাই আছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলার সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠনের( সিএমসি) কোষাধ্যক্ষ ফরিদ খান মিন্টু জানান, বাঘ মৃত্যূর ঘটনায় চোরাকারবারীদের হাত থাকতে পারে। বিষয়টা অনুসন্ধান করে দেখা উচিৎ। কিন্ত কোন অনুসন্ধ্যানে মিলবে বাঘিনী মৃত্যূর আসল রহস্য ? বনবিভাগের কাছে যদি থাকে মৃত্যূর কারণ অনুসন্ধানের সকল দায়ীত্ব আর যকৃত এনালাইসিস করে যদি পাওয়া যায় বিষ টোপের শিকার কটকার বাঘিনী।

তবে..? বন বিভাগ কি পারবেন ঘরের কথা পরের কাছে বলতে ? যদিও পূর্ব- বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান বলেছেন, বয়সের কারনে মারা যেতে পারে বাঘটি। তার সুরে সুর মিলিয়ে বন্যপ্রানী সংরক্ষন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ মদিনুল আহসান বলেছেন, লেজ সহ ৮ ফুট দৈর্ঘ্যর বাঘটির শরীরে যেহেতু কোন আঘাতের চিন্হ নেই তাই বার্ধক্য জনিত কারনেই এর মৃত্যু হতে পারে। তবে ফরেনসিক রিপোর্টের পর বলা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন।
তবে আমার ধারনা একটু আলাদা , এ বাঘ মৃত্যুর আসল রহস্য অধরাই থেকে যাবে অনন্ত কাল…..!


লেখকঃ নজরুল ইসলাম আকন

শিক্ষক ও সাংবাদিক

 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*