মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ৭ জেলেকে উল্টো ডাকাত সন্দেহে বেদম মারধর
আলোরকোল ডেস্ক।।
বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় মুক্তিপণের দাবিতে তুলে নেওয়া ৭ জেলেকে উল্টো ডাকাত সন্দেহে স্থানীয় জেলেরা বেদম মারধর করেছে। বুধবার দুপুরে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের সদস্যরা নামবিহীন একটি মাছধরা ট্রলারসহ ৭ জেলেকে উদ্ধার করে। এরপর এদের চিকিৎসার জন্য কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছায়। পরে দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুয়াকাটা নৌ পুলিশের ইনচার্জ এসআই রাজীব মন্ডল এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ উদ্ধার কৃত জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, উদ্ধারকৃত জেলেদের ৭জনই পৃথক সাতটি ট্রলারের জেলে। শনিবার দিনের বিভিন্ন সময় সাতটি ট্রলারের একজন করে জেলে মুক্তিপণের দাবিতে ডাকাতরা তুলে নেয়। এরপর বিকাশ নাম্বারে প্রতিটি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করে। এরপর তাদের চরমোনতাজের রেজাউল হকের ৪ দিন আগে ডাকাতি হওয়া নামবিহীন ট্রলারে তুলে দিয়ে অন্য একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে সটকে পড়ে ডাকাতরা। ওই ট্রলার নিয়ে চরমোনতাজ এলাকা দিয়ে চালিয়ে আসার সময় স্থানীয় লোকজন ট্রলারটিকে চিনতে পেরে থামানোর চেষ্টা করলে না থামিয়ে চালিয়ে আসতে থাকলে চরমোনতাজ এলাকার লোকজন অন্য ট্রলার নিয়ে তাদের ধাওয়া করে কুয়াকাটা এলাকায় থামিয়ে ওই সাত জেলেকে মারধর করে।
খবর পেয়ে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের সদস্যরা মাছধরা ট্রলারসহ ৭ জেলেকে উদ্ধার করে।উদ্ধারকৃত ওই সাত জেলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এবং বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডাকাতির শিকার জেলেদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব মন্ডল জানান, স্থানীয় জেলেরা ডাকাত সন্দেহে হামলা মারধর করলেও এসব জেলেরাই ভিকটিম কিনা সে তথ্য যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।