প্রধান মেনু

তোর পিছনে একটি কার্তুজ/গুলি খরচ করবো

মোংলায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিলেন মাদ্রাসার সুপার

 

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
সাবধানে থাকিস, তোর পিছনে একটি কার্তুজ, একটি গুলি খরচ করবো। এছাড়া অশ্লীল গালিগালাজ করে মোংলার দৈনিক আমার সংবাদ’র প্রতিনিধি মোঃ হাফিজুর রহমানকে মোবাইল ফোনে এ হত্যার হুমকি দেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো: অহিদুজ্জামান হাওলাদার।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টা ৩৬ মিনিটের সময় ওই সুপার তার মোবাইল ফোন দিয়ে আমার সংবাদের প্রতিনিধিকে এ হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শুক্রবার বিকেলে সুপার মো: অহিদুজ্জামান হাওলাদারের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়রী) করেছেন। জিডি নং-মোংলা থানা/৫৭৬।

এ বিষয়ে শুক্রবার মোংলা থানায় দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এস,আই বিশ্বজিৎ মুখার্জী বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর আমরা এর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাগেরহাট আদালতে পাঠাবো।
মোংলায় থানায় দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়েরীর বিবরণে জানা যায়, দৈনিক আমার সংবাদের মোংলা প্রতিনিধি মোঃ হাফিজুর রহমান তার পৈত্রিক ব্যবসা থেকে রামপালের ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো: অহিদুজ্জামান হাওলাদারকে ২০ লাখ টাকা ধার দেন। ওই সময় ২০ লাখ টাকা ধারের অনুকূলে সুপার অহিদুজ্জামান তার সোনালী ব্যাংক রামপাল শাখার ৪৩৮৭৯ নং হিসাবের (একাউন্ট) একটি চেক (নম্বর ৪০৯১৯৭৪) প্রদাণ করেন। দীর্ঘদিন পর গত ৫ ফেব্রæয়ারী ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে ওই একাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে।

এ বিষয়ে আইনজীবির মাধ্যমে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে আইনি নোটিশ পাঠান হাফিজুর। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৪ ফেব্রæয়ারী) দিবাগত রাত ১১ টা ৩৬ মিনিটে হাফিজুরকে মোবাইলে মাদ্রাসা সুপার মোঃ অহিদুজ্জামান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তোর পিছনে একটি কাটুজ (গুলি) খরচ করবো বলে হত্যার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজুর বলেন, দীর্ঘদিনেও পাওনা টাকা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এটাতো আমার অপরাধ না। কিন্তু এজন্য একজন মাদ্রাসার সুপার কিভাবে আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। প্রশাসনের কাছে আমার জোর দাবী হুমকি দাতার অস্ত্রের সন্ধান ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি তদন্ত পূর্বক তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এ ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকে ভুগছি।
হুমকির বিষয়ে জানতে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ অহিদুজ্জামান হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা যায়নি। #

       রিপোর্ট

আবু হোসাইন সুমন
মোংলা, ১৫-০২-২০ইং






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*