প্রধান মেনু

মোড়েলগঞ্জে সরকারি রাস্তা উপরে প্রভাবশালীর করাত কল 

   এম.পলাশ শরীফ ।।
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়নে সরকারি রাস্তা আটকিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করেই করাত মিল স্থাপন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। রাস্তাটিতে জনসাধারনের চলাচলে জনভোগান্তি এখন চরমে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুলহাতা গ্রামের মোল্লাবাড়ির সম্মুখে উত্তর ফুলহাতা হয়ে ঘষিয়াখালী ৪ কিলোমিটার সড়কে ওই গ্রামের মৃত লাল খানের পুত্র আল আমিন খান ও শাখাওয়াত হোসেনের পুত্র মামুন মোল্লা দু’জনে মিলে  জন চলাচলের রাস্তা আটকিয়ে রাতা-রাতি স্থাপন করছেন করাত মিল।

স্থানীয়দের প্রতিবাদেও কোন কর্নপাত করছে না ওই প্রভাবশালীরা। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে রাতে চলছে তাদের সমিল নির্মানের কাজ।  

স্থানীয়দের প্রশ্ন উঠেছে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কিভাবে এ করাত মিলটি তারা চালু করছে। জনগুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি থেকে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও স্থানীয় জনসাধারণ, মোটরসাইকেল, ভ্যান, বাইসাইকেল প্রতিনিয়ত চলাচল করে।

উত্তর ফুলহাতা হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত অনুরুপ শনিরজোড় হয়ে জিউধরা, মংলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহরে যাতায়েতের একমাত্র মাধ্যম। বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানিতে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না।
তার মধ্যেও আবার রাস্তা আটকিয়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মূল রাস্তাকে করছে সংকীর্ন।  

কথা হয় উত্তর ফুলহাতা গ্রামের মো. মারুফ জোমাদ্দার, রেন্টু তালুকদার, মফিজ খান, জাকির মোল্লা, মোস্তফা জোমাদ্দার সহ একাধিক স্থানীয়দের সাথে তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, প্রভাবশালীরা সরকারি রাস্তার আটকিয়ে এ মিলটি নির্মাণ না করতে পারে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের এখননি নজড় দারিতে নেওয়া দরকার।

তারা আরো বলেন, গ্রামবাসিদের দুর্ভোগের কপাল, ইউনিয়নটিতে এমনিতেই জন বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা কোন মানুষ তাৎক্ষনিক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা শহর বা উপজেলা শহরে নেওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসি।

এ দিকে মিল মালিক মামুন মোল্লা বলেন, তাদের রেকর্ডিও পৈত্রিত সম্পত্তিতে মিল নির্মান করছেন তারা এ রাস্তটিও তাদের জমির ওপর।  

এ সর্ম্পকে বহরবুনিয়া ইউপি চেয়ারমান রিপন তালুকদার বলেন, উত্তর ফুলহাতা গ্রামে সরকারি রাস্তা আটকিয়ে করাত মিল তৈরি হচ্ছে।

বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক সেখানে গ্রামপুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রতিটি করাত মিলের বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে।

পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কোন প্রকারে করাত মিল স্থাপন করা যাবে না।
উত্তর ফুলহাতায় সরকারি রাস্তা আটকিয়ে করাত মিল স্থাপনা বিষয়টি সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  





উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*