শরণখোলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে টাকা ও চেক আত্মসাতের অভিযোগ
আলোরকোল ডেস্ক ।।
বাগেরহাটের শরণখোলায় ভাই ভাই ইলেক্ট্রনিক্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নগদ টাকা ও একাধিক ব্যাংকের চেক আত্মসাত করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মামুন হাসান চুন্নু তালুকদার।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. রাজিব সরদার টাকা ও চেক আত্মসাত করে উল্টো মালিক বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছেন।
এমন অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার (২৫মে) সকাল ১১টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা সদর রায়েন্দা উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান তালুকদারের ছেলে এবং রায়েন্দা পাঁচরাস্তা মোড় এলাকার ভাই ভাই ইলেক্ট্রনিক্স এর মালিক মো. মামুন হাচান চুন্নু তালুকদার।
চুন্নু তালুকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ইলেক্ট্রনিক্সে মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত মোশারেফ সরদারের ছেলে মো. রাজিব সরদারকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। নিয়োগ প্রাপ্ত রাজিব সরদার সম্পর্কে আত্মীয় হওয়ায় প্রথমে সরল বিশ্বাসে তার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
তাই বিভিন্ন কম্পানির নিকট চেক হস্তান্তরের জন্য অলিখিত একাধিক চেক বই তার কাছে রেখে অন্য ব্যবসার কাজে এলাকার বাহিরে যান চুন্নু। কিন্তু কয়েক মাস পরে এলাকায় এসে ম্যানেজার রাজিবের কাছে যখন ব্যবসার হিসাব চাওয়া হয় তখন হিসাব দিতে রাজিব গড়িমসি করেন এবং হিসেবে ব্যাপক গরমিল পান। তখন টাকা আত্মসাত করার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এরপর সঠিক হিসাব বুঝিয়ে দিতে বললে প্রতারক রাজিব তার কাছে রাখা নিজ স্বাক্ষরিত অলিখিত ইসলামী ব্যাংক শরণখোলা শাখার তার নামীয় ২০৫০৩৭৪০১০০০৮৩৩১৫ নাম্বারের তিনটি চেক কোম্পানিকে না দিয়ে চুরি করে নিয়ে যান ম্যানেজার রাজিব।
এছাড়া লাকী ইলেক্ট্রনিক্সের নামে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১৬৮১০২০০০১০০৯ হিসাবের ৩০টি পাতা চুরি করে নিয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে শরণখোলা থানায় গত ০৯/০১/২০২৩ একটি সাধারণ ডায়রি করা হয় যার নম্বর ৩১৮। পরবর্তীতে তার চুরি হওয়া অলিখিত ওই চেকে ১৫ লাখ টাকা লিখে ডিজঅনার করে মামলা করে হয়রানী করেন রাজিব।
চুন্নু তালুকদার আরো বলেন, তার চাচাতো ভাই মো. মনোয়ার হোসেন মিরাজের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি প্রতারনার শিকার হন। যেখানে ব্যবসার ৬০ লাখ টাকা তাকে না দিয়ে উলটো গালাগালিসহ মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন তার ঠিকাদার পার্টনার মিরাজ।
তবে, এব্যাপারে ম্যানেজার মো. রাজিব সরদারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি টাকা ও চেক আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ##