প্রধান মেনু

শরণখোলায় শিক্ষকের পিটুনিতে ৩ ছাত্রী আহত ,হাসপাতালে ভর্তি -১

 

আলোরকোল ডেস্ক ঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় শিক্ষকের পিটুনিতে ৯ম শ্রেনীর ৩ শিক্ষার্থী গুরুত আহত হয়েছেন । আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জান্নাতুল মাওয়া (১৪) নামের এক ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে ।
শিক্ষার্থীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ,উপজেলার দক্ষিন তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে ও ওই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মাওয়া সহ তার দু’ সহপাঠি সাদিয়া ও মোকারিমা ওই দিন সকাল ৯টা৩০ মিনিটের দিকে কলম কিনতে পার্শ্ব বর্তী একটি দোকানে যায় । এতে তাদের দেরী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম সহিদ খান ওই ৩ বান্ধবীকে বেধাড়ক পিটনি শুরু করে । এতে মাওয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কাঁদতে কাঁদতে তার পিতা জাহাঙ্গীর হাওলাদারের দোকানে যায় ।মেয়েকে মারধরের বিষটি জানতে স্কুলে গেলে জাহাঙ্গীরকে ও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে ওই শিক্ষক । পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য মাওয়াকে বিকেলে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার বাবা জাহাঙ্গীর । বিষয়টি জানতে পেরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ওই সময় কর্মরত উপ-স্বাস্থ্য সহকারী বিশ্বজিত মজুমদারের যোগসাজসে তাৎক্ষনিক ভর্তি বাতিল করে সামান্য ওষুধ কিনে দিয়ে জোর করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন । পরে মাওয়া বাড়ীতে গেলে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে একই দিন রাত ১০টার দিকে তাকে পূনরায় হাসপাতালে ভর্তি তার পরিবার । মাওয়া বলেন ,ওই শিক্ষক তাদের ৩ জনকে শুধু শুধু মারপিট করেছেন। তাকে মোটা লাঠি দিয়ে দু’দফায় ১২ থেকে ১৫ টি পিটুনি দিয়েছেন। এতে তার পাজরে বেশ আঘাত লাগে । তাই নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তার । অপরদিকে, মাওয়ার বাবা মো.জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন ,মেয়েকে মারার খবর পেয়ে আমি স্কুলে গেলে আমাকে ও ওই শিক্ষক লাঞ্চিত করেন ।আমি এঘটনার সঠিক বিচার চাই ।
এব্যপারে শিক্ষক শহিদ খান বলেন ,স্কুলের এ্যসেমবিলিতে ওই ৩ ছাত্রী অংশ না নেয়ায় ২/১ টি পিটুনি দিয়ে সাবধান করেছি । এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত ঘটনা ঘটেনি ।
এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বলেন ,বিষটি আমি জানি ,তবে এটা খুব গুরুত্ব দেয়ার মতো কোন ঘটনা নয় ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*