শরণখোলায় ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় এক প্রভাবশালী প্রবাসী পরিবারের ষড়যন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে এবং হরিনের চামড়া ও শিং দিয়ে নাটক সাজিয়ে মানসম্মান ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ২৮ মে শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. সুলতান আহমেদ খাঁনের স্ত্রী মোসা. জবেদা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২৬ মে রাত ২টার দিকে উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের হাফেজ খাঁনের পূত্র সৌদিআরব প্রবাসী মো. আবুল খাঁনের নির্মানাধীন বাড়ি থেকে দুইটি হরিনের চামড়া ও শিং উদ্ধার করে বাগেরহাট ডিবি পুলিশ।
২৬ মে সুন্দরবন টোয়েন্টিফোর.কম নামে একটি ফেসবুক পেজের ভিডিও ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আবুল খাঁনের ভাই রহিম খাঁন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুলতান আহমেদের নাম উল্লেখ করে ঢাকায় একটি টেক্সটাইল মিলে চাকুরীরত ছেলে আবু তৈয়ব ও আত্মীয় কচি মুন্সিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও হরিণ শিকারী আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করে।
তিনি আরো জানান, ২০২১ সালের ৮ মে আবুল খাঁন ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে তার পূত্র মিরাজকে সৌদিআরব নেয়। সেখানে ১ বছরের আকামা (কাজের অনুমতি পত্র) দেয়ার কথা থাকলেও ৩ মাসের আকামা দেয়ায় মেয়াদ শেষে মিরাজ সৌদিআরবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ নিয়ে আবুল খানের পরিবারের সাথে ওই শিক্ষক পরিবারের সাথে দ্বন্ধের শুরু হলে ইতিমধ্যে শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোন সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় শরণখোলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবুল খাঁনের পরিবারের লোকজন শিক্ষক পরিবারকে ও সৌদিআরব বসবাসরত মিরাজকে হত্যা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষমতা থাকলে টাকা আদায় করে নিতে সুলতান আহমেদ ও তার স্ত্রীকে হুমকি দেয় রহিম খাঁন। অন্যদিকে, তারা নাটক সাজিয়ে শিক্ষক পরিবারকে ঘায়েল করতে ষড়যন্ত্র করে নিজেদের বসত ঘরে হরিনের চামড়া ও শিং রেখে দোষারোপ করছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আঃ রহিম খাঁন বলেন, তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। সুলতান খাঁনের ছেলে মিরাজকে বিদেশে নেওয়ার ঘটনায় আকামা নিয়ে কিছু ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। তবে, হরিনের শিং ও চামড়া রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। ###