প্রধান মেনু

সিজারের কারণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক ।।

স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্রয়োজন হয়। সিজারিয়ান করানো খুব সাধারণ বিষয় হলেও এটা একটা বড় অপারেশন তাই এর নিজস্ব কিছু ঝুঁকি থাকে।

মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট প্যারেন্টস ফেরারিল্যান্ড এক প্রতিবেদনে সিজারের কারণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে। 

সিজার করার কারণ

•    নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও যদি প্রসব ব্যথা শুরু না হয়

•    কোনো কারণে শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে

•    প্রসব ব্যথা ৮-১২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও যদি প্রসবের উন্নতি না হয়

•    গর্ভফুলের অবস্থান জরায়ুর মুখে থাকলে 

•    প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকলে

•    গর্ভের শিশুটি যদি অস্বাভাবিক অবস্থানে থাকে

•    প্রথম এক বা দুটি শিশুর জন্ম যদি এই পদ্ধতিতে হয়ে থাকে।

সিজারিয়ান ডেলিভারির ঝুঁকি

•    একাধিকবার সিজারের কারণে মায়ের ইউটেরাইন ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে

•    শিশুর জন্মের পরও ব্লিডিং হলে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভ অপসারণ করে ফেলতে হয় একে হিস্টেরেক্টমি বলে
•    হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে
•    অচেতন অবস্থা সৃষ্টি করতে যেসব ড্রাগ ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে
•    অপারেশনের পর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে
•    স্বাভাবিক ডেলিভারিতে অক্ষম হওয়ায় মানসিক অবসাদ হতে পারে
•    আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
•    প্রতিবার সিজারিয়ানে আগেরবারের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে 
•    বেশ কয়েকবার সিজার করা হলে ক্ষতের কারণে অপারেশনের সময় ঘণ্টা ছাড়িয়ে যেতে পারে
•    এভাবে প্রতিটি সিজারিয়ানের সঙ্গে মায়ের জীবনে ঝুঁকি বাড়তে থাকে

•    শিশুরও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
•    শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বা শিশু দুর্বল হয়।

স্কটিশ বিজ্ঞানীদের করা সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্কুলের পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের চেয়ে খারাপ হয়৷ এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, অপারেশন করে বাচ্চা বের করা হয় মায়ের প্রসব ব্যথা হওয়ার আগে, অর্থাৎ বাচ্চার মস্তিষ্ক পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই৷

গর্ভাবস্থায় কোনো জটিল সমস্যা যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে ভ্যাজাইনাল বার্থ বা নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ। নরমাল ডেলিভারি শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই ভালো নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও ভালো। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, তিন বারের বেশি সিজার করা যাবে না। 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*