পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর দায়ের কোপে শামীম মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রী বানু বেগম (৩২) আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহষ্পতিবার ভোর সোয়া চারটায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার সাদেক খান রোডের লিটনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, লিটনের বাড়ি নামে একটি তিনতলা ভবনের নীচতলা থেকে বানু বেগম নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন।
তিনি জানান, তিনি তার স্বামীকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন, এখন তিনি আত্মসমর্পন করতে চান। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত পুলিশ টিম পাঠানোর জন্য ৯৯৯- এ অনুরোধ করেন। ৯৯৯- কনষ্টেবল তানভীর কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনষ্টেবল তানভীর তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
সংবাদ পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শামীম মিয়ার (৪০) মৃতদেহ সুরতহাল করে পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ও শামীমকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত কলার বানু বেগমকে (৩১) গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কলার বানু বেগম নিহত শামীম মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। বানু জানান, দাম্পত্য কলহ ও যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে প্রায়ই মারধর করতেন, অতিষ্ঠ হয়ে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোঃ কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সংক্রান্তে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ভোর ৪টার দিকে খবর পায়। বানু বেগম নিজেই ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে আমরা নিহতের স্ত্রীকে আমাদের হেফাজতে নেই।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।’তিনি আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানায় এক মাস আগে বিয়ে করে তারা এই বাসায় উঠেছেন। বানু বেগমের আগের স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি শামীম মিয়াকে বিয়ে করেন। অন্যদিকে শামীম মিয়ার স্ত্রী ও বাচ্চা আছে। পারিবারিক কলহের জেরে বানু শামীম মিয়াকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শামীম মিয়া আচার বিক্রি করতেন। এছাড়া ঘটনার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সে বিষয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।